রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
আমিনুর রহমান শামীম॥ সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার (বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি) ২১ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন ২৬৪ নেতা। কিন্তু গত বুধবার পর্যন্ত এসব নেতার ৫ শতাংশকেও তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা যায়নি। কেউ কেউ নিজ নির্বাচনী এলাকায়ই যাননি। এই অবস্থায় সারা দেশে দলীয় নেতাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের চিত্র জানতে কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠিয়েছে বিএনপি।
সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য, সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, জেলা সভাপতি, জেলার আহ্বায়কদের ‘করোনা মহামারির বর্তমান সংকটকালে ত্রাণ তৎপরতার বিবরণ প্রসঙ্গে’ শিরোনামে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়আপনি আপনার এলাকার দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে চলমান সংকট মোকাবেলায় কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন অনুগ্রহ করে সেই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের মতো নেতা রয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত এঁদের কেউ ত্রাণ বিতরণ তো দূরের কথা নির্বাচনী আসনেই যাননি। নির্বাচনের পর থেকে একবারও এলাকায় যাননি বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) ও বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন ও নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর। পটুয়াখালী-৩ আসনে গোলাম মাওলা রনি, বরগুনা জেলার দুটি আসনে মনোনয়ন পাওয়া মতিউর রহমান তালুকদার ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব ত্রাণ দিতে যাননি। এসবের মধ্যেও ব্যতিক্রম আছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সরফুদ্দিন সান্টু (বরিশাল-২) প্রমুখ নেতা।
জানতে চাইলে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘নিজ নিজ এলাকায় কারা ত্রাণ দিচ্ছেন আর কারা দিচ্ছেন না সে প্রতিবেদন আমরা তৈরি করছি। কেন্দ্র যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই পাঠানো হবে।
Leave a Reply